প্রকাশিত: ১১/০২/২০১৭ ৯:১১ এএম

সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::

দেশের ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার ভারত থেকে ভুর্তকি দিয়ে পিঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি করলেও সাধারণ জনগণ সে সুবিধা পাচ্ছে না। উখিয়া উপজেলার অর্ধ শতাধিক পাইকারী ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সিংহভাগ পিঁয়াজের চালান খুচরা বিক্রির নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। চোরাচালান প্রতিরোধে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিজিবি সদস্যদের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিলেও থামছে না মিয়ানমারে নিত্যপণ্য পাচার।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডেইলপাড়া, হাতিমোরা, আজুখাইয়া, ঘুমধুম, তুমব্রু, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী, ধামনখালীসহ প্রায় ১১টি পয়েন্ট দিয়ে নিয়মিত পাচার হচ্ছে নিত্যপণ্য। গত কয়েকমাস ধরে ভারত থেকে আমদানি করা পিঁয়াজ মিয়ানমারে ধারাবাহিক পাচারের বিষয়টি টপ অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে উখিয়ায়। বিশেষ করে সীমান্তের ঘুমধুম ও তুমব্রু পয়েন্ট দিয়ে বেশির ভাগ পণ্য পাচার হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উখিয়া সদর, মরিচ্যা, কোটবাজার, কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী ও পালংখালী এলাকার প্রায় ২০ জন পাইকারী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১শ’ মেট্রিকটনের বেশী পিঁয়াজ সরবরাহ আনা হচ্ছে। এসব পিঁয়াজ খুচরা বিক্রির নামে চাঁদের গাড়ীতে করে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সুযোগ বুুঝে এসব পিঁয়াজ নাফ নদী পার হয়ে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। পিঁয়াজ সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য মিয়ানমারে পাচার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী সিরাজ সওদাগর, প্রদীপ সেন, বিশ্ব নাথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী তপন বিশ্বাস জানান, তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। তারা এসব মালামাল কিভাবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমাদের জানার কথা নয়। পিঁয়াজ ছাড়াও ভোজ্য ও জ্বালানী তেল, রসুন, আদা, চিনি থেকে শুরু করে আটা, ময়দা, সাবানসহ লক্ষ লক্ষ টাকার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ মিয়ানমারে পাচার হলেও দেখার কেউ নেই।

উপজেলা মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় নিত্যপন্য পাচার রোধে বিজিবিকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হলেও পাচার থামছেনা। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের বিজিবি সুবেদার মোহাম্মদ সাদেক জানান, প্রতিনিয়ত গাড়ী ভর্তি করে যে সমস্ত নিত্যপণ্য উখিয়া-টেকনাফে যাচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় শত শত গুন বেশি। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সরবরাহ করার এসব নিত্যপণ্য মিয়ানমারে পাচারের ঘটনা জানা সত্ত্বেও স্থানীয় ভাবে চাহিদার অজুহাত দাড় করানোর কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে সীমান্তের তুমব্রু বিজিবি’র সুবেদার বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, তুমব্রু বাজার ব্যবসায়ী সমিতির টোকেন নিয়ে যে সমস্ত মালামাল বাজারে আসছে তা স্থানীয় ভাবে চাহিদার তুলনায় বেশি। ব্যবসায়ী সমিতির অনুমতি পত্র থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারের কাছাকাছি হওয়ার সুবাধে তারা প্রায় সময় বিজিবি’র নজরদারির বাইরে থেকে সুযোগ বুঝে নিত্যপণ্য সামগ্রী আনা নেয়া করে থাকে। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, নিত্যপণ্য পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ার কারণে তারা চোরাচালান প্রতিরোধ করতে পারছে না।

পাঠকের মতামত

সীতাকুণ্ডে কুমিরা-সন্দ্বীপ ফেরি ঘাট দিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা ...

গহীন পাহাড়ে কঠোর প্রশিক্ষণ, যা বললেন কুকি চিনের আকিম বম

বান্দরবানে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী শাখার বান্দরবান সদর ও ...

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন বর্জনে জেলা বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বান্দরবান জেলার আসন্ন নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বান্দরবান জেলা বিএনপির দিনব‌্যাপি লিফলেট বিতরণ করা ...

নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে দুর্বৃত্তদের আস্তানায় হানা দিয়ে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ...